Saturday, May 2, 2020

রং নাম্বারে প্রেম।



ছেলে:-হ্যালো মেয়ে:-কে আপনি? ছেলে:-আমি  মেয়ে:-কাকে ফোন দিয়েছেন? ছেলে:-সরি আমি ভুল নাম্বারে কল দিয়েছি. মেয়ে:-ওকে,আর ফোন দিও না, লাইন “কাট”. : ছেলে পরের দিন কল দিয়ে বসল.. মেয়ে:-এই ছাগল তোকে বলেছি না ফোন দিবি না..”কাট” ছেলে আবার কল দিল… মেয়ে:-এই কূত্তার বাঁচ্চা ফোন দিলি কেন,”কাট” _নাইম এভাবে একধারে ৩মাস বকা শুনল সে কখনই মেয়েটাকে কিছুই বলেনি. ছেলে আবার কল দিল.






মেয়ে:-এই ছাগলের বাঁচ্চা তরে এত বকা দেই তার পরেও ফোন দেস কেন,আসলে তোর জন্মের ঠিক নাই তোর মা তোর মা তোকে কিভাবে জন্ম দিছে হ্যা.লাইন “কাট” ছেলে:-এত বড় বকা শুনে দু চোখে পানি চলে আসল. তখন বলল মেডাম আমি ইচ্ছা করেই ৩মাস আপনার বকা শুনেছি শুধু আপনার কণ্ঠটা শোনার জন্য এত বড় বকা দিলেন আজও কিছু বলব না,শুধু এটুকুই


বলব যে আপনার কণ্ঠটা অনেক সুন্দর. লাইন “কাটুন” _মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে ৩মাস পর হঠাৎ মানসির চাপে পরে গেল মেয়েটি ঠিকমত ঘুমাইনা খায়না কারো সাথে কথাও বলে না. মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ,তার কিছুই ভাল লাগে না. শুধু এটাই ভাবে ছেলেটাকে এত বড় বকা দিলাম


একটু প্রতিবাদ ও করল না. ছেলেটার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে. মেয়ে কল দিল কিন্তু ৬মাস হয়ে গেল ফোন বন্ধ. ছেলের জন্য তার মা বাবা বিয়ে ঠিক করেছে রাত পোহালেই তার বিয়ে হঠাৎ বন্ধ সিম চালু করতেই দেখে ৫ হাযারের ও বেশি মিসকল ঐ মেয়েটার. ২মিনিট পরেই মেয়েটির কল আসল ছেলে:-হ্যালো. _মেয়ে কাঁন্নার সুরে বলে তুমি কই ছিলা এতদিন?


ছেলে:-আমি কই ছিলাম তা জেনে আপনার কি প্রয়োজন? মেয়ে:-আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি তোমাকে ভালো বেসে ফেলেছি. ছেলে:-তুমি ৩মাস বকা দিয়ে ভালোবেসেছো আর আমি প্রথম বকা খেয়ে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম. ঠিক আছে ক্ষমা করে দিব যদি তুমি আমার বিয়েতে আসো.


মেয়ে:-কি করে আসব কাল তো আমারো বিয়ে. বিয়ে শেষে বউ নিয়ে বাড়িতে আসল ছেলেটি. বাসর রাতে যখন মেয়ের কাছে গিয়ে দেখে, মেয়ে এত কাঁন্না করছে যার কোন সীমা নাই. মেয়ে:-ওগো স্বামী আমার একটা কথা রাখবা


ছেলে:-বলো নিশ্চয় রাখব মেয়ে:-আমি বিয়ের আগে একটা ছেলেকে ৩মাস বকা দিয়েছি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমি তোমার সাথে বাসর করব তুমি কি এই ইচ্ছেটা পূরণ করবে. ছেলে:-ও আমার জান তুমি যাকে বকা দিয়েছিলে আমিই সেই ভাগ্যবান ছেলে আমার মা বাবা যে আমার জন্য তোমাকে ঠিক করেছে তা আমি আগে জানতাম না. দুজন দুজনের গলা জরিয়ে ধরল.. এবং এই আনন্দে ওরা বাসরের কথা ভুলেই গেছে। 



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: