সর্বশেষ

Thursday, April 18, 2024

সুবলপুরে ত্রি প্রহরে বাড়ীতে ঢুকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হানা

সুবলপুরে ত্রি প্রহরে বাড়ীতে ঢুকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হানা

এমএস সজীব: সুবলপুর গ্রামের  রবিউল ইসলাম নামে এক ফেরিওয়ালার বাড়িতে ঢুকে মোবাইল ও মালামাল লুট করেছে দূর্বত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোর ৩:৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় রবিউল ইসলামের ঘুম ভেঙে গেলে চিৎকার করলে তাকে কুপিয়ে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত রবিউল ইসলামকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী রেফার করেন।


আহত রবিউল ইসলাম (৪০) দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুবলপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার জুড়ো মল্লিকের ছেলে। তিনি গ্রাম-গঞ্জে ফেরি করে চানাচুর, বাদাম ও নারীদের কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রি করেন জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ঘটনার পর দুপুরে রবিউলের বাড়ির অদূরে একটি গর্তের মধ্যে লুট করা মোবাইল মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে, খবর পেয়ে গতকাল সকালে কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্প পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান জুয়েল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ২৪ ঘন্টা পার হলেও ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে পারিনি এবং জড়িতদের কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি। আহত পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী থাকায় এখনো কোন মামলা বা অভিযোগ করেনি থানায়। তবে পুলিশ নিজ উদ্যোগে বিষয়টি তদন্তে মাঠে নেমেছে।

আহত রবিউল ইসলামের স্ত্রী কল্পনা খাতুন বলেন, রাতে আমি ও আমার মেয়ে ঘরের মধ্যে এবং স্বামী ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলো। রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিৎকারে ঘুম ভেঙে বাইরে বের হয়ে দেখি আমার স্বামীর ঘাড় থেকে রক্ত পড়ছে। এসময় ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ঘর থেকে মোবাইল ও একটি কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে যায়। ওই ব্যাগে কোন টাকা না থাকলেও কাপড়সহ মালামাল ছিলো। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন পূর্বে এনজিও থেকে টাকা উত্তোলন করি। ওই লোনের কিছু টাকা ঘরে ছিলো। তবে এই টাকা তারা নিতে পারেনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিক চৌধুরী দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, রবিউলের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ লেগেছে। রক্তক্ষরণের কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এদিকে গতকাল সকাল ৯ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা আহত রবিউল ইসলামকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহীর উদ্দেশ্য চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন।

রবিউলের স্ত্রী কল্পনা খাতুন বলেন, দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছালেও রাত ৮ টা পর্যন্ত রক্তের অভাবে চিকিৎসা শুরু হয়নি। ৯টার পর রক্ত সংগ্রহ হলে চিকিৎসক আমার স্বামীর অস্ত্রপাচার শুরু করেন। তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন,  প্রাথমিক ধারণা এটা চুরির ঘটনা হতে পারে। দূর্বত্তরা মালামাল নেয়ার সময় রবিউলের ঘুম ভেঙে গেলে তার ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে একটি হেঁসো, লুট হওয়া মোবাইলসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়। ঘটনার রহস্য উন্মোচনে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, আহতের চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী থাকায় এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ হয়নি। আজ মামলা বা অভিযোগ হতে পারে।

Sunday, April 14, 2024

ই-কমার্সের বিবর্তন: অনলাইন কেনাকাটার প্রবণতা

ই-কমার্সের বিবর্তন: অনলাইন কেনাকাটার প্রবণতা

ই-কমার্সের সূচনা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক দূর এগিয়েছে। এটি অনলাইন কেনাকাটার একটি সাধারণ ধারণা হিসাবে শুরু হয়েছিল, যা গ্রাহকদের তাদের বাড়ির আরাম থেকে কেনাকাটা করতে দেয়।

মোবাইলে কেনাকাটার প্রভাব

স্মার্টফোনের আবির্ভাবের সাথে, ই-কমার্স একটি নতুন মোড় নিয়েছে। মোবাইল কেনাকাটা ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যার ফলে গ্রাহকরা যেকোনো সময় এবং যে কোনো জায়গায় কেনাকাটা করতে পারবেন।

সামাজিক বাণিজ্যের উত্থান

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিও ই-কমার্সের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সামাজিক বাণিজ্য একটি প্রধান প্রবণতা হয়ে উঠেছে, ভোক্তারা সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হচ্ছে।

এআই এবং ব্যক্তিগতকরণের প্রভাব 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ই-কমার্স পরিচালনার পদ্ধতিতে বিপ্লব করেছে। AI অ্যালগরিদমগুলি ব্যক্তিগত ভোক্তাদের পছন্দ অনুসারে পণ্যের সুপারিশগুলি তৈরি করে ব্যক্তিগতকরণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

টেকসই কেনাকাটার দিকে শিফট

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, টেকসই কেনাকাটার দিকে একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতা রয়েছে। ভোক্তারা তাদের ক্রয়ের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে আরও সচেতন, যার ফলে পরিবেশ-বান্ধব এবং নৈতিকভাবে উৎপাদিত পণ্যের বৃদ্ধি ঘটে।

ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ

সামনের দিকে তাকালে, ই-কমার্সের ভবিষ্যত অফুরন্ত সম্ভাবনায় ভরা বলে মনে হচ্ছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং ভোক্তাদের পছন্দ পরিবর্তনের সাথে, অনলাইন কেনাকাটা ক্রমাগত বিবর্তিত হবে এবং খুচরা ল্যান্ডস্কেপকে আকৃতি দেবে। উপসংহারে, ই-কমার্সের বিবর্তন একটি আকর্ষণীয় যাত্রা হয়েছে, বিভিন্ন প্রবণতা আমাদের অনলাইনে কেনাকাটা করার পদ্ধতিকে রূপ দেয়। মোবাইল কেনাকাটা থেকে শুরু করে সামাজিক বাণিজ্য এবং এআই-চালিত ব্যক্তিগতকরণ, ই-কমার্সের বিশ্ব পরিবর্তিত সময়ের সাথে নতুনত্ব এবং মানিয়ে চলেছে।

Saturday, April 13, 2024

 গাঁজা কারবারি গ্রেপ্তার অভিযানে দামুড়হুদা থানা পুলিশ

গাঁজা কারবারি গ্রেপ্তার অভিযানে দামুড়হুদা থানা পুলিশ

 চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, একটি ভ্যানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


শনিবার (৯ মার্চ) রাতে দামুড়হুদা থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা-সুবলপুর সড়ক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামি মো. ফিরোজ মিয়ার (৩০) বাড়ি জেলার দর্শনা থানা এলাকায়।

দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর কবির জানান, আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

Friday, April 12, 2024

Thursday, April 11, 2024

এ যেন মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা অধ্যয়।

এ যেন মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা অধ্যয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা

চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও সমৃদ্ধ জনপদ। এটি বৃহত্তর খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বাংলাদেশের অতি ছোট জেলাগুলোর মধ্য চুয়াডাঙ্গা একটি। এর আয়তন মাত্র ১১৭৪.১০ কিলোমিটার। জেলায় তেমন দর্শনীয় স্থান না থাকায় পরিচিতির দিক দিয়ে রয়েছে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরল ভূমিকা পালন করে চুয়াডাঙ্গা। গৌরবময় ইতিহাস গর্বিত করে জেলাবাসীদের। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রথম কমান্ড; দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড গঠিত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়।




মুক্তিযুদ্ধের আট নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিলো চুয়াডাঙ্গা সদরের ৪নং ইপিআর এর হেডকোয়ার্টার। ৪নং ইপিআর প্রধান মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং ডাঃ আসহাব-উল-হক জোয়াদ্দার একই দিন একই সময়ে সকাল ৯ টা ৩০ এ চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার চৌরাস্তার মোড়ে সর্বপ্রথম দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন।


যুদ্ধকালীন সময়ে ১০ই এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার চুয়াডাঙ্গাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৬ই এপ্রিল তা কার্যকরের কথা থাকলেও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরে তা মেহেরপুরের মুজিবনগরে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং মুজিবনগরকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী করা হয়।



এখানেই চুয়াডাঙ্গার ইতিহাসের ইতি নয়, স্বাধীন বাংলাদেশের ডাক বিভাগ এবং টেলিযোগাযোগের ব্যবস্থা সর্বপ্রথম এই চুয়াডাঙ্গাতেই প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্যান্য স্থানসমূহ

১৮৬২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশে রেললাইন ও রেল চলাচল শুরু করেন। সর্বপ্রথম চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতী পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়।


তাছাড়া চুয়াডাঙ্গার দর্শনা (বর্তমান দর্শনা হল্ট) রেলওয়ে ষ্টেশন বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে ষ্টেশন।  জেলাটিতে রয়েছে নানা যুগের ১০৪টি প্রাচীন নিদর্শন।


প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনের মধ্যে-দর্শনা ডিস্টিলারী হাউজ, কেরু অ্যান্ড কোং বাংলাদেশ লিঃ, হিরোম-লের পুকুর ও বাগানবাড়ি, পুরাতন হাউলি দোয়া, ম-লবাড়ি বাস্তুপুর, কার্পাসডাঙ্গা নীলকুঠি, কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিবিজড়িত আটচালা ঘর ও নদীর ঘাট , নাটুদা গণ আটকবর, গচিয়াপাড়া হাজার দুয়ারী স্কুল, নাটুদা জোড়া শিবমন্দির, দেশের সর্বপ্রথম রেলওয়ে ষ্টেশন দর্শনা  হল্ট স্টেশন, কার্পাসডাঙ্গা মিশন, চুয়াডাঙ্গা ডিসি ইকোপার্ক, শিবনগর জামে মসজিদ, গোলাম মোস্তফা (ঘটু মোল্লা) বাড়ি, রাম বাবুর বাড়ি, রেজা চিশতি (র.) মাজার, মধু জমিদারের পুকুর (জলাধার), জুড়ানপুর মমালিতা ভবন, ভালাইপুর নীলকুঠি, লোকনাথপুর নীলকুঠি, হোসেন মঞ্জিল, কার্পাসডাঙ্গা প্রাচীন গির্জা, খ্রিস্টান পাদ্রীর কবর, কার্পাসডাঙ্গা নীলকুঠির প্রবেশ তোরণ,  কুঁকিয়া চাঁদপুর নীলকুঠি (বিলুপ্তপ্রায়),  হযরত কিতাব আলী শাহ মাজার, কমলার দোয়া, বাংলাদেশের প্রথম ও চুয়াডাঙ্গার প্রধান ডাকঘর, জীবননগর সেন মন্দির, ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়ুলগাছি পীরগঞ্জ জামে মসজিদ, মোমিনপুর বোয়ালমারী পুরাতন জামে মসজিদ, বোয়ালমারী জমিদার বাড়ি, ভিমরুল্লাহ পুরাতন জামে মসজিদ, কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের মামার বাড়ি জীবননগর কাশীপুর জমিদার বাড়ি, সাগরমনী দেবীর বাড়ি, হীরালাল দত্তের বাড়ি, তিতুদহ মিয়াপাড়া জামে মসজিদ, সিরাজ মঞ্জিল, জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক, শহীদ-উর-রহমানের বাড়ি, সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, জীবননগর সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের পাতকুয়া, বটকৃষ্ণ ইন্দ্র কুমারের বাড়ি,  প্রাচীন লোহারপুল, খন্দকার বাশার মোল্লার বাড়ির ঢিবি, আলমডাঙ্গা দোবে জমিদারদের কাচারী ও তহশিলখানা সনাতনপুর, জমিদার বিজয় কুমার দোবের বাড়ি, দোবে জমিদার বাড়ির মন্দির, ঘোলদাড়ি নীলকুঠি, কামিনী ফকিরানীর বাস্তুভিটা, জামজামি শাহী জামে মসজিদ (বিলুপ্ত), কাজী গোলাম দরবেশের কাচারী বাড়ি (মসজিদ সংলগ্ন), জামজামি ঈদগা ধ্বংসাবশেষ, ঘোষবিলা (ধুলিয়া) নীলকুঠি, মতিলাল আগারওয়াল বাড়ি, আলমডাঙ্গা কুমারী সাহা জমিদার বাড়ি, সাহা জমিদার বাড়ির প্রাচীন পাতকুয়া, কুমারী কালী মন্দির, আলমডাঙ্গার লালব্রিজ বা লালসেতু , আলমডাঙ্গা দোতালা রেলস্টেশন, হযরত বিনোদিয়া (র.) মাজার, শ্রী শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দির, চুয়াডাঙ্গা পৌর বড় মসজিদ, ধোপাখালী পুরাতন মসজিদ, জীবননগর পেয়ারাতলা রাখাল শাহ মাজার, চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন, সুভাষিনী দাসের বাড়ি, মতিরাম আগরওয়ালার বাড়ি, দামুড়হুদা বেগুপাড়া মসজিদ, কার্পাসডাঙ্গার কুতুবপুর মসজিদ, হযরত মেহমান শাহ মাজার ও তৎসংলগ্ন ঢিবি, পীর বুড়া দেওয়ানের দরগাহ, জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া অজ্ঞাত ইমারত, হযরত মানিক পীরের মাজার, খাজা পারেশ সাহেবের মাজার, চুয়াডাঙ্গা সদর বড়সলুয়া মহিশতলা মসজিদ ঢিবি, কালুপোল রাজার ভিটা, গড়াইটুপি হযরত মল্লিক শাহ মাজার, মুজিবনগর বাগোয়ান শেখ ফরিদের মাজার, বাগোয়ান শাহী জামে মসজিদ, আলমডাঙ্গা ঘোষবিলা হযরত শাহনূর (বাঘী দেওয়ান) আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি, বাগদাদী (র.) এর মাজার, ঘোষবিলা প্রাচীন মসজিদ ইত্যাদি।


যুদ্ধকালীন গণহত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনে, দামুড়হুদার নাটুদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে তিনটি গণকবর, হৈবতপুরে, জীবননগরে সীমান্তবর্তী ধোপাখালী গ্রামে এবং আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের কাছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ ক্যানালের তীরবর্তী স্থানে যুদ্ধের স্মৃতিধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভ। জেলায় রয়েছে- নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, ভৈরব নদ, কুমার নদ, মাথাভাঙ্গা নদী। যদিও কালের আবর্তে সবগুলো নদী আজ মৃত প্রায়। মাথাভাঙ্গা নদীই এখন জেলার পরিচয় নদী, সেটাও ধ্বংসের দিকে। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আরো আছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রথম কৃষি খামার  জীবননগরের দত্তনগর কৃষিখামার।


এছাড়াও দামুড়হুদার নাটুদহের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর, যা আট কবর নামে পরিচিত। এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ দর্শনা কেরুজ চিনিকল, হাজারদুয়ারি স্কুল, কার্পাসডাঙ্গার নীলকুঠি, আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি ওমর শাহর মসজিদ, তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ, চুয়াডাঙ্গা সদরের গড়াইটুপিতে সাধক হযরত খাজা মালিক গাউস (র.) মাজার, চারুলিয়ার মেহমান শাহরের মাজার, জমিদার নফর পালের প্রাকৃতিক শোভাবর্ধনকারী তালসারি সড়কসহ বিভিন্ন স্থান। 


অসংখ্য প্রাচীন ও নতুন নিদর্শন এবং ইতিহাস ঐতিহ্যের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট জেলা চুয়াডাঙ্গা। জেলাবাসীদের চাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের এই জেলা বাংলাদেশের মানচিত্রের অন্যতম একটি জেলা হয়ে থাকবে। জেলা পাবে তার পূর্ণ মর্যাদা। ঘোষণা করা হবে একটি ঐতিহাসিক জেলা রুপে।

Wednesday, April 10, 2024

ঈদগাহ ময়দানটি শতাব্দীর মিলনমেলা

ঈদগাহ ময়দানটি শতাব্দীর মিলনমেলা

  দামুড়হুদা উপজেলার ৩ নং ওয়ার্ডের সুবলপুর গ্রামে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুবলপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটির সদস্যবৃন্দ গ্রামের অন্যান্য মুসল্লিদের মতামত নিয়ে সকাল ৭:৩০ মিনিটে ঈদের জামাতের সময় নির্ধারণ করে।




সুবলপুর ঈদগাহ ময়দান টি ভৈরব নদ ও মাথাভাঙ্গা নদীর ত্রি মোহনায় অবস্থিত। বলা যায় এখানে তিন গ্রামের লোকজনের মিলনমেলা হয়।  সুবলপুর কাঞ্চনতলা ও কিসমতপুর গ্রামের লোকজন ঈদের নামাজের জন্য এখানে আসে।

 পুরো ময়দানটি আম গাছ দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ায় নামাজ পড়তে তেমন কষ্ট হয় না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই মিলন মেলা। ময়দান টি নতুনভাবে সংস্কার করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে একটি সুউচ্চ মিনার। 




প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও এখানে জড়ো হয় গ্রামের অপমার জনতা। নামাজে মুন্সির দায়িত্ব পালন করে মেহেদী হাসান জিহাদী।

Monday, January 22, 2024

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

 চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে জেলার সকল ইউনিট ইনচার্জ ও অফিসার ফোর্সদের অংশগ্রহণে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা অভিবাদন মঞ্চ থেকে সালামি গ্রহণ শেষে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

প্যারেড অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা। এ সময় পুলিশ সুপার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ফোর্সদের শারীরিক ফিটনেস ও টার্ন আউটের উপর ভিত্তি করে জিএস (গুড সার্ভিসেস) মার্ক প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার প্যারেড পরিদর্শনান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং জেলা পুলিশের সকল সদস্যের উদ্দেশ্যে আইজিপি রেঞ্জ ডিআইজি প্রদত্ত নির্দেশনা বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন । এছাড়াও পুলিশ সুপার ২০২৪ সালের ১ম মাস্টার প্যারেডে উপস্থিত টিম চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের প্রিয় সহকর্মীবৃন্দদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যবৃন্দের চমৎকার টার্ণ আউট সুনিপুন প্যারেড প্রদর্শনীর জন্য প্রশংসা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে পুলিশ দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করে থাকে। এ মহান দায়িত্ব পালন করতে আইন-শৃঙ্খলা আমাদের শক্তি যোগায়। মাস্টার প্যারেড আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে সহায়তা করে। পুলিশের স্মার্ট টার্ণ আউট ও আধুনিক কলাকৌশল রপ্ত করার জন্য নিয়মিত প্যারেড অনুশীলনের বিকল্প নেই। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সেজন্য আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আজকের মাস্টার প্যারেডে নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য সকল ফোর্সকে GS মার্ক এবং ১০০(একশত) টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হলো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হুমায়রা আক্তার,পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) সাইফুল ইসলাম, ডিএসবি সকল অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, আরআই, আরওআই, টিআই (প্রশাসন), সকল ক্যাম্প ইনচার্জসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স।

তথ্যসূত্রঃ এখানে