Showing posts with label গল্প. Show all posts
Showing posts with label গল্প. Show all posts

Tuesday, September 5, 2023

এই বরষায়

এই বরষায়

বিষাদের বাঁধ ভেঙে অঝোর ধারায়

আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি তোমাকে দিলাম
আনমনে থেকে থেকে
মেঘের আড়ালে ঢেকে
গুমরে আকাশ কাঁদে এই বরষায়।
ঐ বুঝি শোনা যায় হাহাকার তার,
থমথমে গুরু ধ্বনি
ক্ষণে ক্ষণে তাই শুনি,
সাথে তার ঝরঝর ঝরে পারাবার।


প্রকৃতি মেতেছে বুঝি হেঁয়ালি খেলায়,
নূপুরের সুরে সুরে
দূর থেকে আরও দূরে
ভেসে যায় সুর তার বেলা-অবেলায়।
সূর্যের আলোরেখা অবাক মায়ায়
মেঘেদের ফাঁকে ফাঁকে
ক্ষণিকের হাসি আঁকে,
পরক্ষণে ঢাকে সবই আঁধার ছায়ায়!


বরষার ঘনঘোরে ভিজে এই মন
সকরুণ মেঘ দেখে
নিজেও বিষাদ মেখে
গেঁথে যায় স্মৃতিদের অলস কথন।
বিষণ্ণ প্রকৃতি ও বিরহী হৃদয়
দুই ক্ষরণের জলে
বিশুদ্ধ হবে বলে
ধুয়ে চলে জমে থাকা ধুলোর বলয়।

Thursday, May 12, 2022

কেন এমন হলো

কেন এমন হলো

 হঠাৎ করেই কতটা পাল্টে যেতে পারে মানুষ?

আমি জানি এর উত্তর কোনদিন জানতে পারবোনা। অমিমাংসিত রহস্যের মত এটাও থেকে যাবে চিরকাল। আমি জানি যখন হারিয়ে গেছে বাতাসের বুক থেকে হিমকনার শেষতম আমন্ত্রন, আমার হৃদয়ে বেঁজেছিল তোমার পদধ্বনি। মধ্যরাত্রে কোন এক স্বপ্ন যেন সফলতার ডানায় ভর দিয়ে পাখা মেলে উড়তে চেয়েছিল। কিন্তু স্বপ্ন শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল জীবনের একটা পথ। যেটাকে আমি ভালবেসেছিলাম পরম মমতায়।




সত্যটা ছিল এটাই যে সেদিন আমার চোখের তাঁরা আঁকতে চেয়েছিল কোন এক অজানা ছবি এই ঠোঁট বলতে চেয়েছিল কোন না বলা বলা কবিতা। এক মুহুরতের জন্য ভাবিনি বিধাতা তোমার বিধিলিপিতে যে গদ্য রচনা করেছে সেখানে তো ছন্দের কোন স্থান নেই। ভাবিনি এই স্বপ্ন চিরদিন স্বপ্নই থেকে যাবে।

যেভাবে বসন্ত দিনে একরাশ উচ্ছল উৎসবে মেতে ওঠে পলাশ-সেভাবে আমিও হারিয়ে গিয়েছিলাম। বসন্তের বিকালটা যেন ফুরাতেই চাইনা, কিন্তু  সেদিন অতিদ্রুত ফুরায়ে গেল বিকালটা। টুপ করে ডুবে গেল সূর্যটা ওই সাগরের জলে। সেসাথে তুমিও চিরতরে।
খুব বেশিদিন নয়, যেদিন জ্যোৎস্না দেখলাম দুজনে নাম অজানা দেশের। অজও চাঁদ উঠেছে আকাশ ছোয়া গাছের মাথার উপর। নিঃশব্দে রাতের আকাশ থেকে খসে পড়ছে তাঁরা। আমি বুঝতে পারলাম এই ভালবাসা আর আমার জীবনে নতুন কোন স্বপ্নের জন্ম দেবেনা। তখন নিজেরই অজান্তে ছোট্ট একটা দীর্ঘ্যশ্বাস ঝরে পড়লো বুকের খাঁচা থেকে।

আমি তোমাকে অন্তর থেকে ভালবাসতাম। কিন্তু হঠৎ তোমার মনে ছুটে এলো সন্দেহের কালো মেঘ।
যে সম্পর্ক একবার ভেঙ্গে যায় তাকে আর জোড়া লাগানো যায় না? তাই না?
আমি জানি এ জীবনে তোমার সাথে আমার আর দেখা হবেনা কোন দিন। কেননা আমি যে তোমার নীল চোঁখের তারায় খুঁজে পেয়েছিলাম অনেকদিন আগে মরে যাওয়া একটি কৃষ্ণ নক্ষত্রকে।
আজ যখন রাত্রি হলো-আর একটু শীতল হলো বাতাস, মনে হল আমার কি লাভ এভাবে ব্যাথাজীর্ন জীবন যাপন করে। পৃথিবীর কোথাও তো আমার নাম সোনার অক্ষরে লেখা হবেনা। সেই নিদারুন সত্যতা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম।

কিন্তু জানতাম না, তোমার মনের মধ্যে এতটুকু ভালবাসার শিহরন জাগবেনা। বলতে পারো তুমি? কতদিন পর হঠৎ দেখা হলে আরো বেশি গাঢ় হবে ঘৃনা?
আমি আজো জানিনা কেন এসেছিলে এক বৈশাখী বাতাসের মতো, আর চলে গেলে চৈতি রাতের ঝরা ফুলের স্বপ্ন হয়ে? আমিতো বেশ একাই ছিলাম এই বিরাট সমুদ্রের কারাগারে বন্দী হয়ে। কেন বয়ে আনলে এক মুঠো টাটকা বাতাস? এরতো কোন প্রয়োজন ছিলনা আমার জীবনে।

আজ শেষ হয়ে আসা রাতে যখন ধ্রুবুতারার বিদায় নেওয়ার সময় হলো তুমিও বিদায় নিলে। পরমুহুর্তে ভাবনার চিঁকন রুমালখানা ছিড়ে খাঁন খাঁন হয়ে গেল। সহসা একরাশ তিক্ততা এসে বসন্ত শেষের রাঙ্গা পলাশ হয়ে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিল আমায়। কেন জানি মনের আকাশে সোঁ সোঁ হাওয়ার শব্দে ছুটে আসছে পাগলা ঝড়। আবার কখনও মেঘহীন বাতাসে হেসে উঠছে চাঁদের জ্যোৎস্না। ধীরে ধীরে সেসব স্মৃতীর রং ফিকে হয়ে আসছে। আর কোন অতীত এখন শরৎ মেঘের মত উড়ে বেড়াবে না মনের আকাশে। মন থেকে উধাও হয়ে যাবে অনুরাগের সমস্থ কবিতা।

কিন্তু
কিছু কাল পরে আবার যখন কুয়াশার আচ্ছাদনে ভরে যাবে শহরের বাতাস, একটি একটি করে নিভতে থাকবে প্রদীপ শিখা গুলি। তখন অকারনে আমি তাকিয়ে থাকবো রাতের আকাশের দিকে। ধোঁয়ায় ভরা এই শহরের রাত আকাশ যখন পারদ কাচের মত মলিন হয়ে যাবে, তখন সেই বিষবাষ্প সরিয়ে যদি সেখানে কখন ভেসে ওঠে তোমার মুখ- তাহলে প্রশ্ন কোরব সত্যি করে বলোতো এমন ভাবে আমার বেঁচে থাকার প্রতিটি প্রহরকে রক্তাক্ত করে বিনিময়ে কি পেলে তুমি? সীমাহিন শুন্যতা ছাড়া?

আজ আমি ক্লান্ত পথিক। আমার সামনে একটা অন্ধকার অমানিশার অন্তহীন সারণী, পিছনে বিপদ আর রোমাঞ্চের উপত্ত্যকা। ডানে অতলস্পর্শী মৃত্যুর হাতছানি, বামে পাহাড় অনন্ত রহস্যের মাখামাখি।
যেভাবে হু হু করে বাড়ছে জল তাতে মহাপ্রলয় ঘনিয়ে আসতে যে আর বেশি দেরি নেই সেটে স্পষ্টো বোঝা যাচ্ছে। বোতাম খোলাই ছিল তাই গায়ে লাগছে বেশরম বৃর্ষির ছাট। ঐ বোধ হয় ভেঙ্গে গেল বাদিকের অনন্ত রহস্য ঘেরা পাহাড়। উন্মুক্ত জলরাশি নিষ্ফল আক্রশে ছুটে আসছে আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে বলে।

যদি এমনই হয়- তাহলে তোমায় শনাব শেষের কবিতা নয়, কবিতার শেষ কথা।
আর এসব হবে এক অভিশপ্ত ভালবাসার শেষ স্মৃতি।

Saturday, May 2, 2020

রং নাম্বারে প্রেম।

রং নাম্বারে প্রেম।



ছেলে:-হ্যালো মেয়ে:-কে আপনি? ছেলে:-আমি  মেয়ে:-কাকে ফোন দিয়েছেন? ছেলে:-সরি আমি ভুল নাম্বারে কল দিয়েছি. মেয়ে:-ওকে,আর ফোন দিও না, লাইন “কাট”. : ছেলে পরের দিন কল দিয়ে বসল.. মেয়ে:-এই ছাগল তোকে বলেছি না ফোন দিবি না..”কাট” ছেলে আবার কল দিল… মেয়ে:-এই কূত্তার বাঁচ্চা ফোন দিলি কেন,”কাট” _নাইম এভাবে একধারে ৩মাস বকা শুনল সে কখনই মেয়েটাকে কিছুই বলেনি. ছেলে আবার কল দিল.






মেয়ে:-এই ছাগলের বাঁচ্চা তরে এত বকা দেই তার পরেও ফোন দেস কেন,আসলে তোর জন্মের ঠিক নাই তোর মা তোর মা তোকে কিভাবে জন্ম দিছে হ্যা.লাইন “কাট” ছেলে:-এত বড় বকা শুনে দু চোখে পানি চলে আসল. তখন বলল মেডাম আমি ইচ্ছা করেই ৩মাস আপনার বকা শুনেছি শুধু আপনার কণ্ঠটা শোনার জন্য এত বড় বকা দিলেন আজও কিছু বলব না,শুধু এটুকুই


বলব যে আপনার কণ্ঠটা অনেক সুন্দর. লাইন “কাটুন” _মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে ৩মাস পর হঠাৎ মানসির চাপে পরে গেল মেয়েটি ঠিকমত ঘুমাইনা খায়না কারো সাথে কথাও বলে না. মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ,তার কিছুই ভাল লাগে না. শুধু এটাই ভাবে ছেলেটাকে এত বড় বকা দিলাম


একটু প্রতিবাদ ও করল না. ছেলেটার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে. মেয়ে কল দিল কিন্তু ৬মাস হয়ে গেল ফোন বন্ধ. ছেলের জন্য তার মা বাবা বিয়ে ঠিক করেছে রাত পোহালেই তার বিয়ে হঠাৎ বন্ধ সিম চালু করতেই দেখে ৫ হাযারের ও বেশি মিসকল ঐ মেয়েটার. ২মিনিট পরেই মেয়েটির কল আসল ছেলে:-হ্যালো. _মেয়ে কাঁন্নার সুরে বলে তুমি কই ছিলা এতদিন?


ছেলে:-আমি কই ছিলাম তা জেনে আপনার কি প্রয়োজন? মেয়ে:-আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি তোমাকে ভালো বেসে ফেলেছি. ছেলে:-তুমি ৩মাস বকা দিয়ে ভালোবেসেছো আর আমি প্রথম বকা খেয়ে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম. ঠিক আছে ক্ষমা করে দিব যদি তুমি আমার বিয়েতে আসো.


মেয়ে:-কি করে আসব কাল তো আমারো বিয়ে. বিয়ে শেষে বউ নিয়ে বাড়িতে আসল ছেলেটি. বাসর রাতে যখন মেয়ের কাছে গিয়ে দেখে, মেয়ে এত কাঁন্না করছে যার কোন সীমা নাই. মেয়ে:-ওগো স্বামী আমার একটা কথা রাখবা


ছেলে:-বলো নিশ্চয় রাখব মেয়ে:-আমি বিয়ের আগে একটা ছেলেকে ৩মাস বকা দিয়েছি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমি তোমার সাথে বাসর করব তুমি কি এই ইচ্ছেটা পূরণ করবে. ছেলে:-ও আমার জান তুমি যাকে বকা দিয়েছিলে আমিই সেই ভাগ্যবান ছেলে আমার মা বাবা যে আমার জন্য তোমাকে ঠিক করেছে তা আমি আগে জানতাম না. দুজন দুজনের গলা জরিয়ে ধরল.. এবং এই আনন্দে ওরা বাসরের কথা ভুলেই গেছে।