Showing posts with label চুয়াডাঙ্গা. Show all posts
Showing posts with label চুয়াডাঙ্গা. Show all posts

Thursday, April 11, 2024

এ যেন মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা অধ্যয়।

এ যেন মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা অধ্যয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা

চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও সমৃদ্ধ জনপদ। এটি বৃহত্তর খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বাংলাদেশের অতি ছোট জেলাগুলোর মধ্য চুয়াডাঙ্গা একটি। এর আয়তন মাত্র ১১৭৪.১০ কিলোমিটার। জেলায় তেমন দর্শনীয় স্থান না থাকায় পরিচিতির দিক দিয়ে রয়েছে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরল ভূমিকা পালন করে চুয়াডাঙ্গা। গৌরবময় ইতিহাস গর্বিত করে জেলাবাসীদের। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রথম কমান্ড; দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড গঠিত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়।




মুক্তিযুদ্ধের আট নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিলো চুয়াডাঙ্গা সদরের ৪নং ইপিআর এর হেডকোয়ার্টার। ৪নং ইপিআর প্রধান মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং ডাঃ আসহাব-উল-হক জোয়াদ্দার একই দিন একই সময়ে সকাল ৯ টা ৩০ এ চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার চৌরাস্তার মোড়ে সর্বপ্রথম দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন।


যুদ্ধকালীন সময়ে ১০ই এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার চুয়াডাঙ্গাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৬ই এপ্রিল তা কার্যকরের কথা থাকলেও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরে তা মেহেরপুরের মুজিবনগরে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং মুজিবনগরকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী করা হয়।



এখানেই চুয়াডাঙ্গার ইতিহাসের ইতি নয়, স্বাধীন বাংলাদেশের ডাক বিভাগ এবং টেলিযোগাযোগের ব্যবস্থা সর্বপ্রথম এই চুয়াডাঙ্গাতেই প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্যান্য স্থানসমূহ

১৮৬২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশে রেললাইন ও রেল চলাচল শুরু করেন। সর্বপ্রথম চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতী পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়।


তাছাড়া চুয়াডাঙ্গার দর্শনা (বর্তমান দর্শনা হল্ট) রেলওয়ে ষ্টেশন বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে ষ্টেশন।  জেলাটিতে রয়েছে নানা যুগের ১০৪টি প্রাচীন নিদর্শন।


প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনের মধ্যে-দর্শনা ডিস্টিলারী হাউজ, কেরু অ্যান্ড কোং বাংলাদেশ লিঃ, হিরোম-লের পুকুর ও বাগানবাড়ি, পুরাতন হাউলি দোয়া, ম-লবাড়ি বাস্তুপুর, কার্পাসডাঙ্গা নীলকুঠি, কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিবিজড়িত আটচালা ঘর ও নদীর ঘাট , নাটুদা গণ আটকবর, গচিয়াপাড়া হাজার দুয়ারী স্কুল, নাটুদা জোড়া শিবমন্দির, দেশের সর্বপ্রথম রেলওয়ে ষ্টেশন দর্শনা  হল্ট স্টেশন, কার্পাসডাঙ্গা মিশন, চুয়াডাঙ্গা ডিসি ইকোপার্ক, শিবনগর জামে মসজিদ, গোলাম মোস্তফা (ঘটু মোল্লা) বাড়ি, রাম বাবুর বাড়ি, রেজা চিশতি (র.) মাজার, মধু জমিদারের পুকুর (জলাধার), জুড়ানপুর মমালিতা ভবন, ভালাইপুর নীলকুঠি, লোকনাথপুর নীলকুঠি, হোসেন মঞ্জিল, কার্পাসডাঙ্গা প্রাচীন গির্জা, খ্রিস্টান পাদ্রীর কবর, কার্পাসডাঙ্গা নীলকুঠির প্রবেশ তোরণ,  কুঁকিয়া চাঁদপুর নীলকুঠি (বিলুপ্তপ্রায়),  হযরত কিতাব আলী শাহ মাজার, কমলার দোয়া, বাংলাদেশের প্রথম ও চুয়াডাঙ্গার প্রধান ডাকঘর, জীবননগর সেন মন্দির, ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়ুলগাছি পীরগঞ্জ জামে মসজিদ, মোমিনপুর বোয়ালমারী পুরাতন জামে মসজিদ, বোয়ালমারী জমিদার বাড়ি, ভিমরুল্লাহ পুরাতন জামে মসজিদ, কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের মামার বাড়ি জীবননগর কাশীপুর জমিদার বাড়ি, সাগরমনী দেবীর বাড়ি, হীরালাল দত্তের বাড়ি, তিতুদহ মিয়াপাড়া জামে মসজিদ, সিরাজ মঞ্জিল, জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক, শহীদ-উর-রহমানের বাড়ি, সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, জীবননগর সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের পাতকুয়া, বটকৃষ্ণ ইন্দ্র কুমারের বাড়ি,  প্রাচীন লোহারপুল, খন্দকার বাশার মোল্লার বাড়ির ঢিবি, আলমডাঙ্গা দোবে জমিদারদের কাচারী ও তহশিলখানা সনাতনপুর, জমিদার বিজয় কুমার দোবের বাড়ি, দোবে জমিদার বাড়ির মন্দির, ঘোলদাড়ি নীলকুঠি, কামিনী ফকিরানীর বাস্তুভিটা, জামজামি শাহী জামে মসজিদ (বিলুপ্ত), কাজী গোলাম দরবেশের কাচারী বাড়ি (মসজিদ সংলগ্ন), জামজামি ঈদগা ধ্বংসাবশেষ, ঘোষবিলা (ধুলিয়া) নীলকুঠি, মতিলাল আগারওয়াল বাড়ি, আলমডাঙ্গা কুমারী সাহা জমিদার বাড়ি, সাহা জমিদার বাড়ির প্রাচীন পাতকুয়া, কুমারী কালী মন্দির, আলমডাঙ্গার লালব্রিজ বা লালসেতু , আলমডাঙ্গা দোতালা রেলস্টেশন, হযরত বিনোদিয়া (র.) মাজার, শ্রী শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দির, চুয়াডাঙ্গা পৌর বড় মসজিদ, ধোপাখালী পুরাতন মসজিদ, জীবননগর পেয়ারাতলা রাখাল শাহ মাজার, চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন, সুভাষিনী দাসের বাড়ি, মতিরাম আগরওয়ালার বাড়ি, দামুড়হুদা বেগুপাড়া মসজিদ, কার্পাসডাঙ্গার কুতুবপুর মসজিদ, হযরত মেহমান শাহ মাজার ও তৎসংলগ্ন ঢিবি, পীর বুড়া দেওয়ানের দরগাহ, জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া অজ্ঞাত ইমারত, হযরত মানিক পীরের মাজার, খাজা পারেশ সাহেবের মাজার, চুয়াডাঙ্গা সদর বড়সলুয়া মহিশতলা মসজিদ ঢিবি, কালুপোল রাজার ভিটা, গড়াইটুপি হযরত মল্লিক শাহ মাজার, মুজিবনগর বাগোয়ান শেখ ফরিদের মাজার, বাগোয়ান শাহী জামে মসজিদ, আলমডাঙ্গা ঘোষবিলা হযরত শাহনূর (বাঘী দেওয়ান) আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি, বাগদাদী (র.) এর মাজার, ঘোষবিলা প্রাচীন মসজিদ ইত্যাদি।


যুদ্ধকালীন গণহত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনে, দামুড়হুদার নাটুদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে তিনটি গণকবর, হৈবতপুরে, জীবননগরে সীমান্তবর্তী ধোপাখালী গ্রামে এবং আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের কাছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ ক্যানালের তীরবর্তী স্থানে যুদ্ধের স্মৃতিধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভ। জেলায় রয়েছে- নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, ভৈরব নদ, কুমার নদ, মাথাভাঙ্গা নদী। যদিও কালের আবর্তে সবগুলো নদী আজ মৃত প্রায়। মাথাভাঙ্গা নদীই এখন জেলার পরিচয় নদী, সেটাও ধ্বংসের দিকে। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আরো আছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রথম কৃষি খামার  জীবননগরের দত্তনগর কৃষিখামার।


এছাড়াও দামুড়হুদার নাটুদহের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর, যা আট কবর নামে পরিচিত। এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ দর্শনা কেরুজ চিনিকল, হাজারদুয়ারি স্কুল, কার্পাসডাঙ্গার নীলকুঠি, আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি ওমর শাহর মসজিদ, তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ, চুয়াডাঙ্গা সদরের গড়াইটুপিতে সাধক হযরত খাজা মালিক গাউস (র.) মাজার, চারুলিয়ার মেহমান শাহরের মাজার, জমিদার নফর পালের প্রাকৃতিক শোভাবর্ধনকারী তালসারি সড়কসহ বিভিন্ন স্থান। 


অসংখ্য প্রাচীন ও নতুন নিদর্শন এবং ইতিহাস ঐতিহ্যের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট জেলা চুয়াডাঙ্গা। জেলাবাসীদের চাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের এই জেলা বাংলাদেশের মানচিত্রের অন্যতম একটি জেলা হয়ে থাকবে। জেলা পাবে তার পূর্ণ মর্যাদা। ঘোষণা করা হবে একটি ঐতিহাসিক জেলা রুপে।

Monday, January 22, 2024

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

 চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে জেলার সকল ইউনিট ইনচার্জ ও অফিসার ফোর্সদের অংশগ্রহণে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা অভিবাদন মঞ্চ থেকে সালামি গ্রহণ শেষে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

প্যারেড অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা। এ সময় পুলিশ সুপার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ফোর্সদের শারীরিক ফিটনেস ও টার্ন আউটের উপর ভিত্তি করে জিএস (গুড সার্ভিসেস) মার্ক প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার প্যারেড পরিদর্শনান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং জেলা পুলিশের সকল সদস্যের উদ্দেশ্যে আইজিপি রেঞ্জ ডিআইজি প্রদত্ত নির্দেশনা বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন । এছাড়াও পুলিশ সুপার ২০২৪ সালের ১ম মাস্টার প্যারেডে উপস্থিত টিম চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের প্রিয় সহকর্মীবৃন্দদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যবৃন্দের চমৎকার টার্ণ আউট সুনিপুন প্যারেড প্রদর্শনীর জন্য প্রশংসা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে পুলিশ দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করে থাকে। এ মহান দায়িত্ব পালন করতে আইন-শৃঙ্খলা আমাদের শক্তি যোগায়। মাস্টার প্যারেড আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে সহায়তা করে। পুলিশের স্মার্ট টার্ণ আউট ও আধুনিক কলাকৌশল রপ্ত করার জন্য নিয়মিত প্যারেড অনুশীলনের বিকল্প নেই। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সেজন্য আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আজকের মাস্টার প্যারেডে নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য সকল ফোর্সকে GS মার্ক এবং ১০০(একশত) টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হলো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হুমায়রা আক্তার,পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) সাইফুল ইসলাম, ডিএসবি সকল অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, আরআই, আরওআই, টিআই (প্রশাসন), সকল ক্যাম্প ইনচার্জসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স।

তথ্যসূত্রঃ এখানে 

দামুড়হুদার দলকা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ

দামুড়হুদার দলকা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ

দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দলকা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের চার জন আহত হয়েছে। আহতরা দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। 



উভয় পক্ষের আহতরা হলেন, গোপালপুর গ্রামের আমির হামজার ছেলে জুড়ানপুর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম (৫০) আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুহুল আমীন, অপর পক্ষে একই গ্রামের জালাল মন্ডলের ছেলে মোজাম্মেল ও নুরুল আলমের ছেলে বখতিয়ার হোসেন। হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বেশ কয়েকজন বাড়ি ফিরে গেছে। এবিষয়ে উভয় পক্ষ দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। এক পক্ষের বাদি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত জালাল মন্ডলের ছেলে মোঃ হকাজ্জেল (৪৫) এবং অপর পক্ষের বাদি একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো: রুহুল আমীন (৩০)। উভয় পক্ষ প্রায় ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করে।

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গতকাল রোববার সকালে দামুড়হুদা উপজেলার দলকা লক্ষিপুর বিল নিয়ে দুই পক্ষ মারামারি করেছে। এতে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বেশ কয়েকজন বাড়ি ফিরে গেছে। দুই পক্ষই দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। উভয় পক্ষের মামলা দামুড়হুদা মডেল থানায় প্রক্রিয়াধীন ছিল এবং মারামারির ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দলকা লক্ষিপুর বিল মৎস্য সমবায় সমিতর পক্ষে মামলার বাদি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত জালাল মন্ডলের ছেলে মোঃ হকাজ্জেল বলেন, আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করায় দলকার বিলের বিষয় নিয়ে আমাদেরকে স্বতন্ত্র ট্রাকের নেতাকর্মীরা হামলা চালাচ্ছে। আবার ওপর পক্ষ দলকা বিলে হেমায়েতপুর প্রগতি মৎসজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে পাহারাদার ও মামলার বাদি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো: রুহুল আমীন বলেন, আমরা স্বতন্ত্র ট্রাকের পক্ষে ভোট করায় দলকার বিলের বিষয় নিয়ে নৌকার পক্ষের লোকজন আমাদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। তাদেরকে বিলে মাছ ধরতে নিষেধ করলেও তারা জোরপূর্বক বিলে মাছ ধরে এবং আমাকে সহ একজন ইউপি সদস্যকেও মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা ০২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো: আলী আজগার টগর এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, দুই পক্ষের মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ এখানে

Friday, November 17, 2023

একনজরে চুয়াডাঙ্গা জেলা

একনজরে চুয়াডাঙ্গা জেলা

 চুয়াডাঙ্গা জেলা (খুলনা বিভাগ)  আয়তন: ১১৭৪.১০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°২২´ থেকে ২৩°৫০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৩৯´ থেকে ৮৯°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলা, পূর্ব এবং দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।

জনসংখ্যা ১১২৯০১৫; পুরুষ ৫৬৪৮১৯, মহিলা ৫৬৪১৯৬। মুসলিম ১১০০৩৩০, হিন্দু ২৬৫১৪, খ্রিস্টান ১৫৯৩, বৌদ্ধ ২২ এবং অন্যান্য ৫৫৬।

জলাশয় প্রধান নদী: মাথাভাঙ্গা, ভৈরব, চিত্রা, নবগঙ্গা, কুমার। ভান্ডারদহ বিল, উজলপুর বিল, মাহেশ্বরী বিল, নেহালপুর বিল, ঝাঝরি বিল, নুরুল্লাপুর বিল এবং বেগমপুর ও চাঁদপুর বাওড় উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন ভারত বিভাগের পূর্বে চুয়াডাঙ্গা মহকুমা নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় কৃষ্ণগঞ্জ থানা বাদ দিয়ে সমগ্র চুয়াডাঙ্গা মহকুমা পূর্ব বাংলার কুষ্টিয়া জেলার অধীন হয়। ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলায় উন্নীত হয়।

জেলা
আয়তন (বর্গ কিমি)উপজেলাপৌরসভাইউনিয়নমৌজাগ্রামজনসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
শহরগ্রাম
১১৭৪.১০৩২৩৪৮৫২১৩০৬১৫৭৮২২৮৫৮৯৬২৪৫.৯
জেলার অন্যান্য তথ্য
উপজেলা নামআয়তন (বর্গ কিমি)পৌরসভাইউনিয়নমৌজাগ্রামজনসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
আলমডাঙ্গা৩৬৪.৬৬১৪১২৩২০৪৩৪৫৯২২৯৪৯৪৫.৭
চুয়াডাঙ্গা সদর২৯৮.২৭৮৯১২৭৩১৩৯৩৫১০৫২৪৭.৬
জীবন নগর১৯৯.২৪৬২৮৩১৭৯৫৮১৯০১৪৬.১
দামুড়হুদা৩১১.৯১৭৪১০৭২৮৯৫৭৭৯২৮৪৪.২

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

দর্শনীয়স্থান সমূহ:

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ (আলমডাঙ্গা), চুয়াডাঙ্গা বড় মসজিদ, তিনগম্বুজবিশিষ্ট ধোপাখালী মসজিদ, ঠাকুরপুর মসজিদ (১৬৯৮), শিবনগর চার পীরের মাজার ও মসজিদ, পারেশ শাহের মাজার, জামজামি মসজিদ, তিয়রবিলা মসজিদ, সোনাতনপুর মন্দির, জগন্নাথপুর মন্দির, ঘোলদাড়ি নীলকুঠি, কার্পাসডাঙ্গা নীলকুঠি।

ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ব্রিটিশ শাসনের সূচনা থেকেই এ জেলার অধিবাসীরা বিভিন্ন বিদ্রোহ ও আন্দোলনে শামিল হয়েছে। ওহাবী আন্দোলন (১৮৩১), ফরায়েজী আন্দোলন (১৮৩৮-১৮৪৭), সিপাহী-আন্দোলন (১৮৫৭), নীলবিদ্রোহ (১৮৫৯-১৮৬১), স্বদেশী আন্দোলন (১৯০৬), খেলাফত আন্দোলন (১৯২০), অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য ও সত্যাগ্রহ-আন্দোলন (১৯২০-১৯৪০), আগস্ট-বিপ্লব (১৯৪২), কৃষক-আন্দোলন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে চুয়াডাঙ্গার মানুষের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নেই চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিরোধ গড়ে ওঠে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও পাকবাহিনীর সাথে শতাধিক ছোটবড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় আলমডাঙ্গা উপজেলার বালিয়াপুর ও বেনাগাড়ি গ্রামের সীমান্তে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন পাকসেনা ও রাজাকার হতাহত হয়। জীবননগর-দর্শনার মাঝামাঝি শিয়ালমারীতে মুক্তিবাহিনীর পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ১০ জন পাকসেনা নিহত হয়। এছাড়া ধোপাখালি সীমান্তে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর লড়াইয়ে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ২ জন আহত হন। দামুড়হুদার মদনা গ্রামে পাকবাহিনী অসংখ্য ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দেয় এবং বহু নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ছিল পাকবাহিনীর হেড কোয়ার্টার। সদর হাসপাতালের পিছনে বর্তমান শান্তিপাড়ায় পাকবাহিনী প্রায় তিন শতাধিক নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাছাড়া পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে যাবার সময় বোমা বিস্ফোরণে করে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের এক অংশ উড়িয়ে দেয়। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ১টি বধ্যভূমি (চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনে), ৩টি গণকবর (নাটুদহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে, জীবননগর সীমান্তসংলগ্ন ধোপাখালি গ্রাম, আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের পার্শ্বে জি.কে খালের তীরবর্তী স্থান) এবং ৩টি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৫.৯%; পুরুষ ৪৬.৯%, মহিলা ৪৪.৯%। কলেজ ১২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫৯, ভোকেশনাল ট্রেনিং কলেজ ০১, নার্সিং ইনস্টিটিউট ০১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ (১৯৬২), দর্শনা সরকারি কলেজ (১৯৬৯), চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ (১৯৮৩), চুয়াডাঙ্গা আদর্শ মহিলা কলেজ (১৯৮৩), জীবননগর কলেজ (১৯৮৪), ভি. জে. (ভিক্টোরিয়া জুবিলি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮০), নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০৬), দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল (১৯১৩), আলমডাঙ্গা বহুমুখী (পাইলট) মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৪), মেমনগর বি.ডি. মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), কুড়লগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৩), হাটবোয়ালিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৫), কলাবাড়ি-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৬), মুন্সিগঞ্জ একাডেমি (১৯৩৫), কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪০), ওসমানপুর প্রাগপুর মাদ্রাসা (১৯৪৯), কুনিয়া-চাঁদপুর মাদ্রাসা (১৯৫৮), বদরগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা (১৯৬৪)।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৫.১৪%, অকৃষি শ্রমিক ২.৯৯%, শিল্প ১.৪০%,  ব্যবসা ১৪.২৪%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৩.৪৬%, চাকরি ৫.৫৭%, নির্মাণ ১.২৮%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩৯% এবং অন্যান্য ৫.৩৮%।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: মাথাভাঙ্গা, প্রথম রাজধানী; সাপ্তাহিক: চুয়াডাঙ্গা দর্পণ, চুয়াডাঙ্গা সমাচার, দিনবদলের কাগজ।

লোকসংস্কৃতি মুর্শিদী, মারফতী ও বাউল গানচর্চা ছাড়াও যাত্রা, ভাব গান, ভাসান গান, কবিগান, মানিক পীরের গান, কৃষকের মেঠো গান, গাজীর গীত উল্লেখযোগ্য।  [রাজীব আহমেদ]

আরও দেখুন সংশ্লিষ্ট উপজেলা।

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; চুয়াডাঙ্গা জেলার সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭; চুয়াডাঙ্গা জেলার উপজেলা সমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।

Saturday, November 11, 2023

বড়বলদিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

বড়বলদিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দর্শনার বড়বলদিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ্য মহাঃ ইউসুপ আলীর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বড়বলদিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বড়বলদিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বড়বলদিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের সভাপতি হজরত আলীর সভাপতিিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু।

সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জিয়াবুদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড় বলদিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান, সাবেক সহ সভাপতি হাবিবুল্লাহ, দাতা সদস্য বরকত আলীসহ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বড় বলদিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তক্কেল আলী।

কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত

কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন। গতকাল শুক্রবার সকালে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে ভর্তি রাখেন। পরিরারের সদস্যরা জানান, সম্প্রতি জ্বরে আক্রান্ত হলে কামাল উদ্দিন ডেঙ্গু পরীক্ষা করান। রিপোর্টে তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন জানতে পারলে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার অবস্থা উন্নতির দিকে ছিল। এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের রোগমুক্তি কামনা করেছেন ইউনিয়নবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।